মন্তব্যসমুহ (0)

বাংলাদেশে কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারের বাজেট বৃদ্ধি

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, নিয়মিত বন্যা এবং এ ধরনের অন্যান্য দুর্যোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দুর্যোগ-ঝুঁকি-প্রবণ এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) হলো সরকারের সর্বশেষ স্তর, যা স্থানীয় জনগণকে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানটি- বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সুশাসন, উন্নয়ন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নিজ নিজ ভূমিকা, দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি ‘দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি ২০১৯’ (Standing Orders on Disaster 2019 - SOD) তৈরি করেছে। ইউপি আইন অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একটি “ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি-(ইউডিএমসি)” থাকা আবশ্যক। এসওডি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ইউডিএমসিকে, দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশমন, জরুরি সাড়াপ্রদান ও দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইউডিএমসি-সমূহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাজেটের অভাবে পুরোপুরি কার্যকর হয়ে উঠতে পারে না। এই পলিসি ব্রিফটি মূলত তৈরি করা হয়েছে “জুরিখ ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রকল্প” দ্বারা পরিচালিত ‘পোস্ট ইভেন্ট রিভিউ ক্যাপাবিলিটি স্টাডি’ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল, অংশীজনদের সাক্ষাৎকার এবং ফরিদপুর জেলায় সংঘঠিত ২০২০ এর বন্যা পরবর্তী কয়েকটি ছোট পরিসরে পরিচালিত স্টাডির ভিত্তিতে। এছাড়াও বাংলাদেশের ফরিদপুর, লালমনিরহাট এবং গাইবান্ধা জেলার অধীনে ১৫টি বন্যাপ্রবণ ইউনিয়নে বাস্তবায়িত জুরিখ ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের অংশীজনদের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে এই পলিসি ব্রিফটি সমৃদ্ধ হয়েছে।
লেখক: আফসারি বেগম, তামান্না রহমান
ভাষা: Bengali
প্রকাশক: zurich flood resilience alliance
প্রকাশকাল: August 2022

মন্ত্যব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।


মন্তব্যসমুহ

আপনার কি কোন প্রশ্ন আছে?